সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মৌখালী এলাকায় সুন্দরবন সংলগ্ন মালঞ্চ নদীর চর দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ এ এন্ড এন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস নামের রিসোর্ট সেন্টার ও ট্যুরিস্ট স্পট উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়। এ সময় পরিবেশ ও বন আইনের লঙ্ঘন করে গড়ে ওঠা স্থাপনাগুলো সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছিল বলে জানিয়ে সেগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
অভিযানে অবৈধ রিসোর্টের চারটি ফুট ট্রেল, একটি গোলচত্বর ও একটি অফিসঘর উচ্ছেদ করা হয়। এগুলো অনুমোদন ছাড়া নদীর চর দখল করে নির্মাণ করা হয়েছিল। রিসোর্ট মালিক কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, নদীর জায়গায় এসব স্থাপনা গত আট মাস ধরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠে। এর আগে মালিককে নিজ দায়িত্বে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানা হয়নি। পরে উপজেলা প্রশাসন বাধ্য হয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সঞ্জয় রায়। সঙ্গে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম, বন বিভাগের মুন্সিগঞ্জ টহল ফাঁড়ির ফরেস্টার ফায়েজুর রহমান এবং নীলডুমুর ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই সুজিত সরকারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
ভূমি কর্মকর্তা সঞ্জয় রায় বলেন, ‘স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা সেটি মানেননি। ফলে বাধ্য হয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। নদীর জায়গায় এভাবে স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খুলনার মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি প্রায় আট মাস আগে মালঞ্চ নদীর চরে রিসোর্ট নির্মাণ শুরু করেন। এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ মেরামতের জন্য সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে। পরবর্তীতে বহিরাগত ওই ব্যক্তি প্রভাবশালী ট্যুরিস্ট ব্যবসায়ী পরিচয়ে বাঁধের ওপর রিসোর্ট নির্মাণ শুরু করেন।
খুলনা গেজেট/এসএস